চট্টগ্রামের জেএমসেন হলে পূজায় গান গেয়েছেন ইসলামিক সংগীত সংগঠন।

আজকে পুরোদিন ধরেই জামায়াত শিবির পূজামন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তায় প্রশাসনের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করেছিলো। বিকেলে পূজার কালচারাল সেশনে অডিয়েন্স আর পূজা কমিটির পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির সদস্যদের পারফর্ম করার জন্য অনুরোধ করা হয়। এক পর্যায়ে তারা পারফর্ম করতে রাজি হয় উক্ত প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ রত সদস্যরা বাংলাদেশ রাজনৈতিক দল ইসলামি ছাত্র শিবির পরিচয়ে নয়।

তারা জামায়াতের কালচারাল উইং সিসিএ (চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি'র সদস্য) এরা জামায়াত পরিচয়ে সেখানে যায়নাই ও পারফর্ম ও করেনি। তারা পূজা কমিটির আমন্ত্রণে যান এবং সেখানে তারা গেয়ে'ছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় গান বাউল সংগীত 'আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম' ও তার সাথে  আরো কিছু দেশোত্মোবোক গান পরিশেষে আরেকটা জনপ্রিয় গান পরিবেশের করেন 'হিন্দু বৌদ্ধ মুসলিম সম্প্রীতির গান।

শুধু মুসলমানের লাগি

গীতিকারঃ চৌধুরী আবদুল আলিম সুরকারঃ চৌধুরী আবদুল হালিম

শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম
বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান
হিন্দু বলো বৌদ্ধ বলো কিংবা খ্রিস্টান
সবাই হেথা শান্তি পাবে পাবে রে সম্মান
নির্ভয়ে নিজ নিজ ধর্ম
পালন করবে নিজ কর্ম
সব ধর্মের সব মানুষের
ইসলাম দিল সেই সম্মান ॥
ভিন ধর্মের কারো উপরে যদি
কোন মুসলিম করে অবিচার
শেষ বিচারে রাসুল নিজে
দাঁড়াবে বিপক্ষে তার
রাসুলের শাসনামলে
খোলাফায়ে রাশেদার কালে
ভিন ধর্মের লোক সব চেয়ে সুখে ছিল
ইতিহাস গাইছে গান।
দ্বীন ইসলাম সার্বজনীন
সব মানুষের তাই
চন্দ্র সুরুজ সবার তরে যেমন
আলো ছড়িয়ে যায়
এসো সেই ইসলাম বুঝি
সত্য ন্যায়ের পথ খুঁজি
বিশ্ব মানুষের মুক্তির শেষ পথ
বিপ্লব ইসলামী বিপ্লব।


যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো সমালোচনার ঢল নেমে আসে। সমালোচনা তৈরি করার জন্য কিছ অসাধু লোক 'আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম' গানকে  টার্গেট করে এডিট করে প্রকাশ করে। সাথে  অন্য একটা গান লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে যা নিশ্চিতভাবেই এটা প্রোপাগান্ডা। আর তারা ওইখানে কোনো ইসলামী গান গায় নাই তা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন তারা আরো বলেন ওইখানে জামায়াতের আমীর উপস্থিত ছিল না।

উক্তি শিল্পীদের আমন্ত্রণ জানিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। তারা যোর পূর্বক কোন সংগীত পরিবেশন করেনাই। উক্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্রগ্রাম মহানগর  এটিকে 'অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান' হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

পুজা অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বক্তব্য "ধন্যবাদ চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির শিল্পীবৃন্দদেরকে, অসাম্প্রদায়িক একটি বাংলাদেশ গড়ার যে সঙ্গীত ওনারা পরিবেশন করলেন সেজন্য বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ, সাধুবাদ জ্ঞাপন করছি।